বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥ ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষদের বলা হয় বামন। আঞ্চলিক ভাষায় কেউ কেউ “বাওন”ও বলে থাকেন। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের দেখা মেলে। জীনগত অথবা বংশগত কারণে এরা অতি ক্ষুদ্রকায় হয়ে থাকে। এদের ঔরসজাত সন্তানরা সবসময় বামনাকৃতি হয় না। এরা সমাজের মানুষের কাছে আজীবনই অবহেলার পাত্র। ক্ষুদ্র সাইজের কারণে এদের পথে-ঘাটে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বামনাকৃতির লোক সাধারণ মানুষের কৌতূহলেরও কারণ। এদের কোনো কাজেও কেউ নিতে চায় না। চাকরিও মেলে না সহজে। সাধারণত এরা সার্কাসে দর্শণার্থীদের আনন্দ দিয়ে আয়-রোজগার করে থাকেন। দেহের আকৃতি বামনদের স্বাভাবিক আকৃতির চেয়ে অতি ক্ষুদ্র হলে তো আরো সমস্যা। তেমনি একজন অতি ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার (পূর্ব) গ্রামের বাসিন্দা মো. মশিউর (৩৫)। তার উচ্চতা আনুমানিক দুই ফুট। সে বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ও কন্যা কেউ তার মতো বামনাকৃতি নয়। তাদের উচ্চতা সাধারণ মানুষের মতো। এ প্রসঙ্গে সদা হাস্যোজ্জ্বল মো. মশিউর পান খেতে খেতে বলেন, অন্যের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে আমাকে চলতে হয়। আমার উচ্চতা খুবই কম হওয়ায় সার্কাসেও এখন আর আমাকে কেউ নিতে চায় না। তাই আমাকে কখনো ভিক্ষা করে সংসার চালাতে হয়। আমি সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply